গল্পগুলো

আল্লাহর কী মাজেজা, এই ধরণের শ্বাপদশংকুল পরিবেশের ভেতরেই দুনিয়ার সব সুন্দরী মেয়েদের বসবাস! মায়াবতীর চোখদুটোর দিকে তাকালে আমি শ্রেফ ক্যাবলা হয়ে যাই। গত পাঁচ বছর ধরে ওর সাথে আমার ফিফটি পার্সেন্ট প্রেম চলছে। মানে হলো এই প্রেমে আমি রাজি পুরোটাই, কিন্তু সে মোটেও না! … বিস্তারিত পড়ুন

পাখী দম্পতিটি কি তবে বিদ্রোহ করে অন্য পাখীদের ডেকে আনবে? হিচ্ককের ছবির সেই পাখীদের মত আমার বাড়ী বা এ তল্লাটের সবার ঘরবাড়ী ধ্বংস করে দেবে হাজার হাজার পাখী? আমি মেরুদণ্ডে ঠাণ্ডা স্রোত নিয়ে ডিমটাকে আবার হাতে তুলে নেই।… বিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বাস, আস্থা, শরীর, প্রেম, ভালোবাসা, স্নেহ… এর বাইরেও আরও একটা জিনিস আছে মানুষ আর মানুষীর ভেতরে। কী সেটা, তা এই সময়ের মানুষেরা এখনো জানে না। তবে কেউ কেউ জানে মনে হয়। সেটার কোনো নাম নেই এখন। ভবিষ্যত পৃথিবী তাকে কোনো একটা নাম দেবে হয়তো। সে এক অদ্ভুত সুন্দর ব্যাপার হবে তখন!… বিস্তারিত পড়ুন

ঘরের বাইরে, এমনকি ঘরের ভেতর থেকেও তার গলার স্বর শোনা গেছে- এমন দাবী এলাকাবাসীর কেউ কখনো করতে পারেনি লোকটা সম্পর্কে। স্বাধীনতার পর শহর ছেড়ে ঝুনাহারের খাল পেরিয়ে বড় শালার বাড়িতে আত্মগোপন করে প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকটা, লুট করা সোনাদানা সব সেখানেই নিয়ে গিয়েছিলো- এমন কথা চালু আছে এলাকায়। কিন্তু বাহাত্তরের পর যখন পাতিল একটু একটু করে ঠাণ্ডা হচ্ছে, তখন আবার ফিরে আসে সে। ফিরে আসে যেন তার প্রেত। …বিস্তারিত পড়ুন

কিন্তু ধান নিয়ে বাজারে গিয়ে সে মোটামুটি ভিরমি খেলো। দর যা বলে, সেটা খরচের চেয়ে কম। এই দামে বেচলে আর ধানকৃষি করে কী হবে? মোসাদ্দেক একটা জিনিস বোঝে না, ধানের দাম এতো কম, কিন্তু চালের দাম এতো বেশি কেনো? অবশ্য সে মুর্খ মানুষ। আর মূর্খ মানুষের যা হয়, রাগ থাকে জাহেলের মতো।… বিস্তারিত পড়ুন

অপ্রচলিত হলেও কথাটা সত্যি যে নজরুলের জিবনেও পেরেম এইসেচিলো। তা তার হবু প্রেমিকা প্রথমেই শর্ত জুইড়ে দিলো: ওই বান্দররে বন্দরে ফেলাইয়া তারপর আহো বেপারি। দুইজন মিল্লা রোজগার করমু, তুমি খদ্দের ডাইক্কা আনবা আর আমি… বিস্তারিত পড়ুন

ভাত পুড়িয়ে কয়লা বানিয়ে ফেলে বলে আকলিমাকে নিজেই পুড়ে কয়লা বনে যেতে হবে এমন একটি সর্বজনস্বীকৃত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সে যদি তা হতে না চায়, সে যদি দাঁ হাতে রুখে দাঁঁড়ায়, তাহলে তালাক দেয়ার চেয়ে বেশি শাস্তিদায়ক হলো বাপের বাড়িতে খেদিয়ে দেয়া… বিস্তারিত পড়ুন

সিনে পত্রিকার গসিপ ইত্যাদি একজন রূপালি লাস্যময়ী নায়িকা হতে গেলে যা যা লাগে- সবই ঠিক ঠিক সময় মতো ক্লিক করে উঠতে- রাতারাতি সে সুপারস্টার! তার ‘রাতজাগা পাখি’ এতোই হিট করলো যে একটানা দেড়মাস সতেরটি জেলায় হাউজফুল চলেছিলো… বিস্তারিত পড়ুন

১৯৬০ সালের দিকে দক্ষিণ ফ্রান্সের সাগরপারের এক ছোট্ট শহরে সমারসেট মমের সাথে সাক্ষাতের এক সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। এই গল্প আমার সেই অনুভূতি- যা আমার জীবনের এক অভাবিত কথপোকথোনে রূপ নিয়েছিলো। – লেখক।… বিস্তারিত পড়ুন

গাছটার মধ্যে ভক্তি করার মতো কোনো গাম্ভীর্য উদিতাংশু খুঁজে পেলো না। এমনকি রিকিতের মীথটিও এখন তার মনে পড়ছে না। সে তাকিয়ে দেখলো গাছের ডালের ফাঁকে বেশ কিছু বাদুর ঝুলে আছে। উদ্ভিদজগতের কোনো বিরল বৈশিষ্ট্যই হবে হয়তো গাছটা। বাদুড়গুলো লাল চোখে নীচের মানুষগুলো দেখছে। একটাও নড়ছে না একটুও। স্থির হয়ে আছে। নায়নার ডাকে সে ফিরে তাকালো। … বিস্তারিত পড়ুন

ধিঙ্গি আশশেওড়া লজ্জাবতীকে বলছে ‘আ মলো যা, মাগীর ঢং দেখে আর বাঁচিনা। এখনো মাটির সাথে কথা কইছে অথচ দ্যাখোনা রাজ্যের ফুল ফুটিয়ে ছেনালী করছে।’ ওদিক থেকে কণ্টিকারী বাতাসে দুলতে দুলতে গলা বাড়িয়ে বললো ‘আর বোলোনা দিদি, সারা গায়ে বিষের কাঁটা গজিয়ে রেখেছি তবুও ঢ্যামনা ছাগলগুলোর হাত থেকে রেহাই নেই। আর এ মাগীর গায়ে একফোঁটা শিশির পর্যন্ত পড়েছে কি অমনি পাতা বুজিয়ে গেলাম গেলাম….মরণ আর কি!’… বিস্তারিত পড়ুন

কি ঘটেছিলো এই বাসায়? খুন বা ধর্ষণ কিংবা গায়ে কেরোসিন ঢেলে কেউ আত্মহত্যা করেছিলো? স্ত্রীকে পেটাতে পেটাতে মেরে ফেলেছিলো? কিংবা আচমকা দরজা ভেঙে ঢুকে কেউ পয়েন্ট ব্লাঙ্ক গুলিতে ঝাঁঝড়া করে দিয়েছিলো লোকটিকে?… বিস্তারিত পড়ুন

প্রত্যেকের শরীরে সংযোজিত কিছু না কিছু প্লাস্টিক প্রত্যঙ্গের কারণে ভীড়েরা আগুনের খুব বেশি কাছে ভীড়তে পারেনা। বহুভাষাবিদ ডঃ রিবেন দাশুড়া প্রমুখ এই সমাজব্যবস্থাকে “প্লাস্টিসিয়ান” বলে অভিহিত করেছেন। সেই মত অবশ্য পলিকার্বনেশিয়ানরা বাতিল করে দিয়েছেন।… বিস্তারিত পড়ুন

এমনকি দুনিয়াটাও একচোখা দুনিয়াতে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে বেশ! তা দেবে নাকি খেজুরকাটা দিয়ে নিজের একটা চোখের দফা রফা করে? কোন্ চোখ? ডানটা না বামটা? দুনিয়া এখন ডানবাম কোন্ চোখের নেতৃত্বে চলছে, তা মহামতি জিল্লুরের পক্ষে বোঝা কঠিন! এই দ্বিধাদ্বন্দ্বের খেলার মাঝে জিল্লুরের হুট করে আরও একটা অপশনের কথা এক ঝলকে মনে পড়লো! আর তারপর সেটা তার মেরুদণ্ডে ঠাণ্ডা স্রোতের পরশ বুলিয়ে সাঁৎ করে নেমে গেলো! কী সর্বনাশ! জিল্লুর ওটা পুরোপুরি কেটে ফেলার কথা ভাবে কী করে?… বিস্তারিত পড়ুন

সারাটা জিবন আমার গেলো ছায়া খুঁজতে খুঁজতে। অনেক আশায় আর তীব্র ভালোবাসায় মৃদুলকে আঁকড়ে ধরেছিলাম। ফুলশয্যার রাতে তাকে বলেছিলাম, তুমি শুধু আমার মাথার ওপর ছায়া হয়ে থেকো! কিন্তু এখন আমি নিশ্চিত বুঝতে পারছি, আমার সেই ছায়া ক্রমশ সরে যাচ্ছে।বিস্তারিত পড়ুন

নাতির ওই মরোমরো অবস্থা দেখে সুইধন বেওয়া নিজে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফেরত দিয়ে আসে কালাচানকে। তাকে ফিরে পেয়ে পোষা বেড়ালের মতো কোলে তুলে আদর করতে করতে মিহিস্বরে সুরুজ মিয়া পাথরটাকে শান্তনার সুরে বলে, ভাইঙে দ্যায়েছিছ? মামুর বেটাক একদম খায়ে দিবার পারলু না? … বিস্তারিত পড়ুন