ট্রোপোসীমার ৭ছন্দ

১.

ট্রোপোস্ফিয়ার ছাড়িয়ে একা স্বপ্ন দেখে নদী

কোদণ্ড সন্তাপের শেষে টাটকিনা মাছ নাচে

গভীর রাতে বুকের মাঝে তেজকটালের চাপ

কোথায় যেনো বাজছে ব্যকুল

স্যাক্সোফোনের স্বর।

                     নিরক্ষীয় সন্ধ্যা বসে

                     জনযুবতীর চুলে –

আগুন নিয়ে করছে খেলা অবাধ্য সব ভূত!

 

২.

বর্ষাবিহীন ক্লান্তিমাখা পত্রপতন গাছে

একাত্তরের সঙ্গী যখন 

বেশ্যা-কবি-ভাঁড়;

ডায়ামিটার বাড়িয়ে দিলাম গণতন্ত্রের মুখে –

যা বলে যান, বলুন; 

এখন

সবাই সর্বভূক।

 

৩.

বাঘের থাবা বাড়িয়ে আছে অসভ্য স্তন।

চান্দ্রমাসে কন্দকাটা

শিব গিয়েছেন জেলে

                   রসিক, এবার স্যাক্সোফোনে

লাম্বাডা সুর তুলে

গিনেস বুকে অনাহারীর ফর্দ তুলে ধরে!

 

৪.

নি-নেপচুনের চামড়া ছিঁড়ে মিথেন-মদির ধোঁয়া

এইযে আমার কোদাল

আমার কাস্তেরা খঞ্জ না।

 

৫.

তুড়ির শব্দে

তুবড়ি তুলে জ্যান্ত ফুজিয়ামা

জলখাবারের কফির কাপে

মেঘ দ্যাখে সন্তরা।

                      ত্রিশের কবি

                      পঞ্চাশে মেঘ

                      নব্বইয়ে হালভাঙা-

ঊষঢ় দিনেই গজায় ক্ষেতে কন্টিকারীর ছানা।

 

৬.

হামাক্ তু ল্যিয়ে যাবিক্

মারমা গাঁয়ের কাছ্যে

সনঝেরাতের মাদল শুন্যে

চিত্রাহরিণ ডাক্যে!

 

৭.

অবশেষে ক্রান্তি যখন

শিরে ও সন্দ্বীপে-

                          ভাসাও তোমার

                           ক্যান্যু জাহাজ

                           তাহিতি কোন্ দিকে?

ওইখানে সব ওয়াহিন মেয়ে

ওইখানে সব সুখ;

ওইখানে এক মারমা যুবক

                            ণৃতত্ত্ব সন্ধানে-

ট্রোপোস্ফিয়ার ছাড়িয়ে এক

ভিনগ্রহে পৌছাঁবে!

 

প্রকাশ: আমিনুল হাসানের রেখা ও কাব্যে কবিত্রয়, ১৯৯৪

অন্যদের জানিয়ে দিন