লেখার টেবিল

নতুন লেখা

রাস্তার কল থেকে পানি খাচ্ছে এক কন্যা পথশিশু।

তার হাতে একতোড়া ন্যাতানো ফুলের গোছা।

ঘটনা বলতে এইটুকুই। 

 

আর কোনো গান নেই, আর কোনো 

অভিযোগ নেই কোনোখানে। 

 

সিগন্যাল পড়ে গেলে কন্যাশিশুটি আবার গিয়ে দাঁড়াবে 

আপনাদের অভিজাত গাড়ির কাঁচঘেরা 

কোমল কামরায়। 

 

মোবাইল থেকে চোখ না সরিয়ে 

আপনারা হয়তো ন্যাতানো ফুলের আর্জির বিপরীতে বলবেন, 

‘মাফ করো”!

সাম্প্রতিক

খুন হয়ে যাবার পর আমি তোমার দিকে তাকালাম; পিরামিডের পাশে- ঝিকিঝিকি আগুনের সূর্যটা ম্লান করে তোমার নিঃসঙ্গ সৌষ্ঠব অহেতুক আস্ফালনে আমাকে বাঘের মতো ফালাফালা করে দিলো! চেয়ে দেখলাম, পুরোনো পৃথিবীটা নগন্য তামার পয়সার মতো নিঃশব্দে অস্ত যাচ্ছে তোমার পেছনে! ৯ জুন, ২০২১ সেন্ট্রাল রোড, ঢাকা

নাহ ! ঠিক এভাবে যে নয়নার সাথে সম্পর্কটার স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে এমনটা ভাবেনি উদিতাংশু। সাত বছর পরে এসে তারা যে সমাধানটার কথা ভাবলো, সেটা আগে কেনো ভাবেনি- তাই ভেবে তার নিজেরই একরকম জিদ চেপে গিয়েছিলো। অনেকটা জোর করেই তাই নায়নাকে নিয়ে জমপুর আসা। এমন বিস্তীর্ণ গ্রামে নয়নাকে নিয়ে এই …

উদ্বিড়াল দম্পতি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে এই জেনে, যে মানুষ এক অমায়িক খচ্চর! রেডবুক দীর্ঘ হলে ওদের কিছু আসে যায়না। আসে যায়না মোবাইলের টাওয়ারের কারণে কচি নারকোল ঝরে গেলে... এতোসব কিছুই লাগতো না আমাদের। এই ইন্টারনেট, এ্যারোপ্লেন, হর্টিকালচার... সব আমরা কৌতুহলে তৈরি করেছি। তুষারঝড়ের গড় বিচ্যুতি পরিমাপের কোন প্রয়োজনই হতো …

রেবতীকে আমি ডাকতাম ফিলাডেলফিয়া। মনে হতো ফুলের নামে ডাকছি! সে আর একজনের বাগদত্তা ছিলো। রেবতীকে তারপরও আমার ভালো লেগেছিলো, রেবতীর আমাকে। আমরা কতো কতো শহর ঘুরেছি, আবার কতো যায়গায় যাওয়া হয়ে ওঠেনি আমাদের!   যেমন ইজিপ্ট! স্ফিংসের সামনে পামপাতার হ্যাট পড়ে পোজ দেয়া রেবতীর কোন ছবি পোস্ট করা হয়নি আমার। …

জোড়া দেয়া দুটো          তারের মাথায়                জ্বলছে আলো। তুমি কি রেবতী             বেসেছিলে বলো            বেসেছ ভালো? জোড়া দেয়া দুটো          মানুষ তো নয়,               অন্ধ জ্যোতি এক পা পেছলে,            এক পা এগুলে              কী আর ক্ষতি! জোড়া দেয়া দুটো          হৃদয় ভীষণ                   একাঙ্কীকা …

বলপ্রিন্ট পরিহিতা মাছরাঙা-রোদ এসে বলে গেল- বসন্ত সমাগত! তা'বলে ভেবোনা এই শীতের উত্তাপ তোমার পাঁজর থেকে খরিদ করেছি। আকাশে যে কালপুরুষ কটিবন্ধে তরবারি নিয়ে বিপুল উদ্যমে- আমি তাকেও জানিয়ে রাখি শীতরাত্রির সহজ সংকেত! কেননা মানুষ মাত্রেই গতিশীল। মানুষ মাত্রেই কিছুটা সন্দেহ!

মানুষ হলো জানোয়ারের জাত। পালে পালে জন্মায় তারপর একটা একটা করে মরে! এরা মরার জন্যই জন্মায়, অথচ মরা আর বাঁচার মাঝখানের কালটা রাজ্যের শয়তানি আর ভালোমানুষীতে পার করে দেয়। এই মানুষের জন্যই মানুষ বেঁচে থাকে, আবার মানুষকে মারতে কতো ফন্দিফিকির! আমরা যদি একটু মানুষ হতাম- তাহলে মানুষকে আর অমানুষের মতো …

পুঁটকী ফাটা গরম পইড়েচে এবার! আর এই গরমে সুস্থির হইয়ে বইস্তে চালি কোতায় যাতি হবে ঢাহা শহরের মদ্দি কও দিনি? পার্কগুলোনরে তো তোমরা হাপিশ কইরে ফেইলেচো। আর আর যে সকল বিনোদনের ব্যবস্থা বানায়ে রাখিছো, তাতে তো আমার মতন ঢ্যামনারা মোততেও বসে না। তালি বাকি থাইকলো কী কতি পারো? বাকী থাইকলোতো …

এইখানে এক ঝর্ণা ছিলো আগে। কে বলেছে ঝর্ণা ছিলো আগে? বরফ গলে ঝর্ণা হতে অনেক সময় লাগে! ওসব মনের ভুল পাহাড়চূঁড়োয় খেলতে গিয়ে বরফে মশগুল পথগুলো সব খাড়াই, বাঁকা - গোলকধাঁধায় মস্ত আঁধারকর আমার সাথে পথ হারালো একটা শালিখবর। হুহু বাতাস শিষ দিয়ে যায়, ডাকে- আমি, নাকি শালিখপাখি, কে পৌঁছালো …

আমাদের বাসার সামনে ধ্যারধেরে রেইন্ট্রিগাছে গাছে-মৌমাছি ভুল করে বাসা বেঁধেছিলো। ভুল করে বলছি এই কারণে যে ওরা বেশিদিন টিকতে পারেনি। আর সাধারণত এ ক্ষেত্রে যা হয়- বিভিন্ন সুসারিস্টিসন তৈরি হয়ে যায়। মৌমাছির নাকি ভালোমন্দ বিবেচনাবোধ প্রখর। যেখানে তারা বাসা বাঁধে- সেই সংসারের সর্র্বনাশ করে ছাড়ে- এটা আমার মা-জননী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস …