১.
ট্রোপোস্ফিয়ার ছাড়িয়ে একা স্বপ্ন দেখে নদী
কোদণ্ড সন্তাপের শেষে টাটকিনা মাছ নাচে
গভীর রাতে বুকের মাঝে তেজকটালের চাপ
কোথায় যেনো বাজছে ব্যকুল
স্যাক্সোফোনের স্বর।
নিরক্ষীয় সন্ধ্যা বসে
জনযুবতীর চুলে –
আগুন নিয়ে করছে খেলা অবাধ্য সব ভূত!
২.
বর্ষাবিহীন ক্লান্তিমাখা পত্রপতন গাছে
একাত্তরের সঙ্গী যখন
বেশ্যা-কবি-ভাঁড়;
ডায়ামিটার বাড়িয়ে দিলাম গণতন্ত্রের মুখে –
যা বলে যান, বলুন;
এখন
সবাই সর্বভূক।
৩.
বাঘের থাবা বাড়িয়ে আছে অসভ্য স্তন।
চান্দ্রমাসে কন্দকাটা
শিব গিয়েছেন জেলে
রসিক, এবার স্যাক্সোফোনে
লাম্বাডা সুর তুলে
গিনেস বুকে অনাহারীর ফর্দ তুলে ধরে!
৪.
নি-নেপচুনের চামড়া ছিঁড়ে মিথেন-মদির ধোঁয়া
এইযে আমার কোদাল
আমার কাস্তেরা খঞ্জ না।
৫.
তুড়ির শব্দে
তুবড়ি তুলে জ্যান্ত ফুজিয়ামা
জলখাবারের কফির কাপে
মেঘ দ্যাখে সন্তরা।
ত্রিশের কবি
পঞ্চাশে মেঘ
নব্বইয়ে হালভাঙা-
ঊষঢ় দিনেই গজায় ক্ষেতে কন্টিকারীর ছানা।
৬.
হামাক্ তু ল্যিয়ে যাবিক্
মারমা গাঁয়ের কাছ্যে
সনঝেরাতের মাদল শুন্যে
চিত্রাহরিণ ডাক্যে!
৭.
অবশেষে ক্রান্তি যখন
শিরে ও সন্দ্বীপে-
ভাসাও তোমার
ক্যান্যু জাহাজ
তাহিতি কোন্ দিকে?
ওইখানে সব ওয়াহিন মেয়ে
ওইখানে সব সুখ;
ওইখানে এক মারমা যুবক
ণৃতত্ত্ব সন্ধানে-
ট্রোপোস্ফিয়ার ছাড়িয়ে এক
ভিনগ্রহে পৌছাঁবে!
প্রকাশ: আমিনুল হাসানের রেখা ও কাব্যে কবিত্রয়, ১৯৯৪