সেলফিকাণ্ড

আসল নামটি মফিজুর বটে এলাকার বিগ নেতা
পেছনে যতোই ডাকোনা মফিজ তার কানে গেলে সেটা
কেটে নেবে কান, জমিন আসমান এক হয়ে যাবে ডড়ে
মফিজুর ছিলো চাল ব্যবসায়ী-  কার আজ মনে পড়ে?

অত্র এলাকা মফিজের হাতে – অবৈধ ঠেক, দোকান
চাঁদা দেয় তাকে, টটস্থ থাকে পাতি নেতা, মাস্তান!
পাড়ার বেড়াল, বেওয়ারিশ যতো কুকুর, ইঁদুর, ছুঁচু
ডাকেনা উচ্চে, চেঁচামেচি করে- তাও স্বর করে নিচু।
মফিজের বানী- শাসন এখানে; জনাদশে বডিগার্ড
ঘিরে রাখে তাকে অষ্টপ্রহর- যেনো জেলভাঙা বার্ড
আনাগোনা করে টেন্ডারবাজ, সমাজবিরোধী, রিচ-
মফিজুর খুব বিজি থাকে রোজ, মোবাইলে আনরিচ।
 
ইদানিং তার ঝামেলা বেড়েছে- রেসপন্সিবিলিটি হাই
রাস্তা, সড়ক, গলি, সাঁকো, ব্রিজ উন্নত করা চাই।
আসছে দেদার বরাদ্দ- তার কাঙ্খিত ঠিকাদার
মফিজেরই শালা- রডের বদলে বাঁশেতে বাঁধে পিলার
সেইসমস্ত নির্মাণকাজে মফিজের শতকরা
বিশ পার্সেন্ট মার্জিন থাকে ভার্জিন আনকোরা….!

সেইসমস্ত নির্মাণকাজ উদ্বোধনের দিন-
কতো যে কান্ড, কেরিকেচার আর কতো নাটকের সিন-
কি আর বলিবো, বলিতে বলিতে শির হয়ে যায় খাড়া
”জনতার নেতা, গরীব-দরদী, জাগো হে সর্বহারা“!
বক্ততাপালা সমাপ্ত হলে পারিষদ সহচরে
মফিজ বের হয় সরেজমিনে পরিবীক্ষণ তরে।

একশোফুটের বিরিজ হয়েছে দেড়শো মানুষ তায়-
মহাসমারোহে দন্তকপাটি মফিজের পিছে ধায়!
সবার সামনে মফিজের শালা রোদচশমায় ঢাকা
পিলিক পিলিক সেলফি টিপিছে কব্জি করিয়া বাঁকা
মফিজ দাঁড়ানো ব্রিজের উপরে,তাকে ঘিরে বডিগার্ড
ফডাশ করিয়া তখন ফাটিলো ঢালাইয়ের কাঁচা বাঁশ
হুড়মুড করে দেড়শো পিপল, জনতা দিগ্বিদিক
কার ঘাড়ে কার পাঁজড় ভাঙছে কিচ্ছুটি নাই ঠিক।


সেই ঘটনার ভিডিওকিলিপ ওইদিনই সন্ধ্যায়
অন্তর্জালে ছড়াইয়া পড়ে- ভাইরাল হয়ে যায়।