মনোভূমি
তুহিনসমদ্দার ডটকম | tuhinsamaddar.com
একটি অলাভজনক, অরাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
গাইবান্ধার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের বোচাগাড়ী গ্রামের নাহিদ হোসেন, বয়স ৬। বন্যার্তদের রিলিফ বিতরণ কেন্দ্রের আসেপাশে উদাসভাবে ঘোরাফেরা করছিলো। ভালোবেসে কাছে ডাকতে অনেককিছু জানা গেলো। সেলফি তোলায় আগ্রহ কম। পড়ে ‘উয়ানে’। আজ টিচার কী পড়িয়েছে মনে নেই
ঝিঁঝিপোকা ধরার কিছু টেকনিক আছে! চিকন লম্বা বাঁশের কঞ্চির মাথায় নারকেল পাতার শলা কেটে হাত দেড়েক লম্বা ডাঁট অনেকখানি ঢুকিয়ে শক্ত করে বেঁধে দিতাম আমরা। ঝিঁঝি কোথায় ডাকে, কখন তাকে বাগে পাওয়া যাবে, তাকে পাকড়াও করতে কিভাবে চুপিচুপি কাছে যেতে হবে, এইসব জানা থাকলে জঙ্গলের ভেতর ডাক শুনে ঝিঁঝি খুঁজে বের করে বাঁশের মাথায় লাগানো শলাকা ঝিঁঝির গায়ে ঠেসে ধরতে পারলেই …
ছোট প্রাণ, ছোট ব্যথা...
আমার গল্পেরা
কিন্তু ধান নিয়ে বাজারে গিয়ে সে মোটামুটি ভিরমি খেলো। দর যা বলে, সেটা খরচের চেয়ে কম। মোসাদ্দেক একটা জিনিস বোঝে না, ধানের দাম এতো কম, কিন্তু চালের দাম এতো বেশি কেনো? অবশ্য সে মুর্খ মানুষ। আর মূর্খ মানুষের যা হয়, রাগ থাকে জাহেলের মতো...
ঝরাপাতা
কুয়াশায় বেবশ হয়ে পথের পাশে অবহেলায় ফুটেছে ফুলকলি! সেই একরত্তি ফুলের কাছে তোমার কথা বলি।...
পুরোনো গিটার
বড়দা তখন ইন্টার্নি করছে শেবাচিমহা তে। তাতে কী, গ্রামের মানুষের কাছে সেটাই বড়-ডাক্তার! সমস্যা কী কাকু? বড়দা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাইতো রোগের উপসর্গ। তারা তাতেই অর্ধেক ভালো হয়ে যেতেন। মাকে বলতেন, বৌদি, খোকন যে কয়ডা “ফরমুলা” জিগাইলে, মোগো গেরামের ডাক্তারেতো হেকয়ডা জিগাইলেনা!”
চরকা
নেই নেই করেও এখনো ইলিশের যে সোয়াদ তা সত্যিই মনমাতানো। ইলিশ আহরণ ও বিপণনের পেছনে আছে নানারকম রাজনৈতিক আবেগ আর অর্থনীতি। গ্রেডের ইলিশ দেশে লভ্য নয়- কুবের কালচারে সব বেহাত হয়ে যাচ্ছে! যারা ইলিশ আহরণে জড়িত, তাদের জীবন ইলিশের মতো ততোটা চকচকে নয়। বুদ্ধদেব বসু ইলিশকে অভিসিক্ত করেছেন ’জলের উজ্জ্বল শস্য’
আঁকার খাতা
হাতে আঁকা সাইনবোর্ডর যুগ শেষ হয়ে গেছে সেই কবে, তবু এখনো মিস করি। হাজার ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের ভিড়ে পুরোনো দিনের বাহারি স্টাইলের কোনো একটা সাইনবোর্ড চোখে পড়লে চোখ ফেরাতে পারিনা, খুঁটিয়ে খুটিয়ে দেখি!…
আমার প্রকাশনা
তুহিনের গল্পে স্বপ্ন আর কল্পনা বাস্তবে দুই ভাইবোন মিলে শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানমনষ্ক এক পৃথিবীর ছোটগল্প হয়ে ওঠে। ফলে কেবল কর্নয়া, যা দৃষ্টিক্ষমতার জন্য দরকারী – এমন চোখ দিয়ে তুহিনের গল্প পড়ার খুব অসুবিধা আছে। এর জন্য দরকার তৃতীয় সেই চোখ – যাকে আমরা অন্তর্চাখ বলি।